ঢাকা বুধবার, ০৫ নভেম্বর, ২০২৫

বিএলআরআই নিয়োগবিধিতে বৈষম্যের প্রতিবাদে গবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

গবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২৫

বিএলআরআই নিয়োগবিধিতে বৈষম্যের প্রতিবাদে গবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশ লাইভস্টক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (বিএলআরআই) নিয়োগবিধিতে পশু চিকিৎসা ও পশু পালন বিষয়ে সমন্বিত বিএসসি ডিগ্রি (B.Sc. in Vet. Sci. & A.H.) অন্তর্ভুক্ত না করায় নিয়োগে বৈষম্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস অনুষদের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় তারা ‘নিয়োগ নিয়ে টালবাহানা চলবে না’, ‘প্রশাসনের কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘আমার সোনার বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

অনুষদের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের কার্যনির্বাহী সদস্য মো. হুমায়ুন কবির বলেন, “বাংলাদেশ লাইভস্টক রিসার্চ ইনস্টিটিউট কম্বাইন্ড ডিগ্রিধারীদের নিয়োগে বৈষম্য করছে। এটি আমাদের প্রতি স্পষ্ট অবিচার। আমরা ইতিমধ্যে প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ম্যামসহ বিএলআরআই কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি, কিন্তু তারা বারবার বিষয়টি উপেক্ষা করছে। আমরা এর স্থায়ী সমাধান চাই।”

এ বিষয়ে প্রতিবাদে অংশ নেওয়া অনুষদের শিক্ষার্থী মো. মাহিদুজ্জামান সিয়াম বলেন, “দেশের প্রাণিসম্পদ উন্নয়নের বৃহত্তর স্বার্থে ২০১৬ সালে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর উদ্যোগে কম্বাইন্ড ডিগ্রি (B.Sc. Vet. Sci. & A.H.) চালু হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও এই কোর্স চালু করা হয়। আমরা পশু চিকিৎসা ও পশু পালন—উভয় বিষয়ে সমন্বিত জ্ঞান অর্জন করি। অথচ বিএলআরআই আমাদের কোনো গবেষণা বা চাকরির সুযোগ দিচ্ছে না। এটি বৈষম্যমূলক ও স্বৈরাচারী আচরণ।”

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা ‘অধিকারের নামে কেন এই বৈষম্য?’, ‘কম্বাইন্ড ডিগ্রিধারী ছাত্র-ছাত্রী চাই ন্যায্য সম্মান’, ‘কম্বাইন্ড ডিগ্রি অপরাধ নয়’, ‘ভেটেরিনারি একটাই পরিবার, কম্বাইন্ড ডিগ্রিতে সমান অধিকার’, ‘আদিম পশু পালনে নয়, বরং সমন্বিত ভেটেরিনারি শিক্ষা দেশের সম্মান’—এমন বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

শিক্ষার্থীরা আরও জানান, বৈষম্যমূলক নিয়োগবিধি দ্রুততম সময়ে সংশোধন না করা হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

কর্মসূচি শেষে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেন এবং উদ্ভূত সমস্যার দ্রুত সমাধানে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

আমার ক্যাম্পাস/সানজিদা খানম ঊর্মি

Link copied!