সরকারি সাত কলেজকে একীভূত করে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ গঠনের প্রস্তাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইডেন মহিলা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, এই কাঠামো বাস্তবায়িত হলে নারী শিক্ষার অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত হবে এবং সংবিধানে দেওয়া সমান সুযোগের নিশ্চয়তা লঙ্ঘিত হবে।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব উদ্বেগের কথা জানান। এ সময় ইডেন কলেজসহ সাত কলেজের ঐতিহ্য ও স্বতন্ত্র মর্যাদা রক্ষায় সাতটি সুপারিশও তুলে ধরেন তারা।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইডেন মহিলা কলেজের সাবেক ভিপি হেলেন জেরিন খান। তিনি বলেন, “ইডেন মহিলা কলেজ ও বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ দীর্ঘদিন ধরে নারী শিক্ষার অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। বিশেষত ধর্মপ্রাণ ও নিম্ন আয়ের পরিবারের মেয়েদের জন্য এগুলো নিরাপদ, সাশ্রয়ী ও মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাকেন্দ্র।”
তিনি আরও বলেন, “প্রস্তাবিত কাঠামোয় সহশিক্ষা চালুর পরিকল্পনা নারীদের উচ্চশিক্ষার জন্য হুমকিস্বরূপ। এটি কার্যকর হলে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়বে, তাদের শিক্ষায় প্রবেশাধিকার কমে যাবে, যা সংবিধানে প্রদত্ত সমান সুযোগের নিশ্চয়তার পরিপন্থী।”
সাবেক শিক্ষার্থীরা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, নতুন বিশ্ববিদ্যালয় কাঠামো বাস্তবায়িত হলে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের অন্তর্ভুক্ত প্রায় ১,৪০০ পদ বিলুপ্ত হতে পারে। এতে শিক্ষা ক্যাডারে চাকরির সুযোগ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তারা ইডেন মহিলা কলেজ এবং বদরুন্নেসা কলেজের পৃথক স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে নারী শিক্ষার নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইডেন কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক নিশরাত বেগম, সাবেক শিক্ষার্থী খন্দকার ফারহানা ইয়াসমীন, অধ্যাপক সৈয়দা সুলতানা সালমা, রোকন সিদ্দীকী, ইসরাত জাহান পান্না, ফাহিমা আক্তার মুকুল এবং রাজিয়া সুলতানা।
আপনার মতামত লিখুন :