ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫

মানুষের জন্ম হয়েছে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য : প্রধান উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৫

মানুষের জন্ম হয়েছে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য : প্রধান উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) ভবন-২ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “মানুষ কারো চাকরি করার জন্য আসেনি। মানুষের জন্ম হয়েছে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য। কাজেই সেদিকে যেন আমরা যেতে পারি, সবাইকে সেই সুযোগ যেন দিতে পারি।”

তিনি আরও বলেন, “এখন মানুষ বহু রকমের উদ্যোক্তা হয়েছে। আমরা কারও তালিকা করে রাখিনি। কাজেই আরও সুযোগ আসছে। এর বড় কারণ হলো প্রযুক্তি। প্রযুক্তি আমাদেরকে সমস্ত কাজে একেবারে বিশ্বের সঙ্গে যুক্ত করে দিয়েছে। এখন প্রযুক্তিকে ব্যবহার করার সময় এসেছে।”

মানুষকে সক্ষমতার ভিত্তিতে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়ার কথা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমরা প্রতিটি মানুষকে তার নিজের সক্ষমতাকে কেন্দ্র করে যেখানে যেতে চায় সেখানে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে চাই। আশা করি, এই কাজে পিকেএসএফ নতুন ভবনে এসে নতুন যাত্রা শুরু করবে।”

পিকেএসএফ-এর বর্তমান কাঠামো ও পরিবর্তনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “পিকেএসএফ এখন আগের কাঠামো নিশ্চয়ই পরিবর্তন করেছে। অনেক নিয়মকানুনের মধ্যে পরিবর্তন হয়েছে। বিনিয়োগের মধ্যে যেতে পারলে তো বড় আকারের একটা কিছু হতে পারে। এখনকার ছেলেমেয়েরা ৮০ সালের ছেলেমেয়ের মতো না। তারা অনেক পরিবর্তিত, অনেক দূর এগিয়ে গেছে।”

তিনি আরও যোগ করেন, “ছেলেমেয়ে সবাই মিলে কয়েক লাখ বিনিয়োগকারী হয়েছে, উদ্যোক্তা হয়েছে। আইনকানুনের মধ্যে যেসব দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে, ইতোমধ্যে সেগুলো সংশোধন করা যায় কি না তা পরীক্ষা করে দেখার প্রয়োজন আছে। নিজস্ব আইন যেটা আছে, এটাকে আরও সম্প্রসারণ করা যায় কি না সেটিও দেখতে হবে।”

পিকেএসএফ-এর সূচনা প্রসঙ্গে স্মৃতিচারণ করে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “বিশ্বব্যাংক থেকে ২০ কোটি টাকার একটি ফান্ড এসেছিল। ওই ২০ কোটি টাকাকে কেন্দ্র করে পুরো ঘটনা ঘটেছে। সেই ২০ কোটি টাকা উপলক্ষ্য না হলে পিকেএসএফ-এর জন্ম এভাবে হতো না, অন্য কোনোভাবে কোনোদিন হতে পারত। ধাক্কাটাও আসত না। আর এর পেছনে লেগে গিয়েছিল স্বয়ং প্রেসিডেন্ট (এরশাদ)। কাজেই ধাক্কাটা জোরেসোরে এসেছে। উনি চাচ্ছিলেন, টাকাটা থাকুক। উনি (এরশাদ) ভরসা করে আমাকে চাচ্ছিলেন যে, আমি একটু সমর্থন করি। আমি বলেছিলাম, টাকাটা ফেরত দিয়ে দিন। এই টাকাটা মানুষ খেয়ে ফেলবে। দারিদ্র্য নিরসনের অন্য কোনো দেশে এ রকম হয়েছে বলে মনে হয় না। একেবারে গোড়াতে গিয়ে যে মানুষের সঙ্গে কাজ করা, সেদিকে যথেষ্ট কাজ হয়েছে। সবাই মিলে কাজ করেছে। আমরা ফাইন্যান্সিয়াল সিস্টেমকে গড়ে তুলতে পারলে সত্যি সত্যি মানুষকে উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করতে পারি।”

আমার ক্যাম্পাস

Link copied!