ঢাকা শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫

কেন্দুয়ায় জামায়াত-বিএনপি সংঘর্ষে আহত ৬ জন

নেত্রকোণা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২৫

কেন্দুয়ায় জামায়াত-বিএনপি সংঘর্ষে আহত ৬ জন

ছবিঃ সংগৃহীত

নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নে জামায়াতে ইসলামী ও যুবদলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পাটুয়াপাড়া মসজিদ সংলগ্ন উদ্দীপন কোচিং সেন্টারের সামনে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে দুই পক্ষের অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আহতদের মধ্যে রয়েছেন সান্দিকোনা ইউনিয়ন জামায়াতের সহসভাপতি মাজহারুল ইসলাম (৫৫), জামায়াত কর্মী নয়ন মিয়া, ইউনিয়ন যুবদল আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবুল (৪০), কৃষকদল নেতা নবীজুল, ছাত্রদল নেতা রয়েল মিয়া (২২) এবং রামিম (২০)। এর মধ্যে মাজহারুল ইসলাম ও হাবিবুর রহমান হাবুলকে গুরুতর অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনার পর উভয় পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে। স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা অভিযোগ করেন, নিষিদ্ধ কার্যক্রমে জড়িত আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকর্মী জামায়াতের প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে আপত্তি জানালে যুবদল নেতা হাবিবুর রহমানকে মারধর করা হয়। এর প্রতিবাদে রাত ৯টার দিকে ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।

অন্যদিকে, উপজেলা জামায়াতে ইসলামী দাবি করেছে, তারা শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনী কমিটি গঠনের কার্যক্রম চালাচ্ছিল। এ সময় যুবদল নেতা হাবিবুর রহমান হাবুলের নেতৃত্বে বিএনপির কর্মীরা অতর্কিত হামলা চালায়। রাত সাড়ে ৯টায় উপজেলা কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ প্রকাশ করেন সংগঠনের নেতারা।

সান্দিকোনা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম ও উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি মাহবুবুর রহমান খান মহসিনসহ স্থানীয় কয়েকজন নেতা জানান, জামায়াতের প্রোগ্রামে যুবলীগ নেতা রাজ্জাক মিয়া, মতি মিয়া, রফিক, মুসলেম উদ্দিন, মিজানুর রহমান ও আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালামের উপস্থিতি দেখে তারা প্রতিবাদ জানান। এতে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং সংঘর্ষে ছাত্রদল ও যুবদলের বেশ কয়েকজন আহত হন।

এ বিষয়ে উপজেলা জামায়াতের আমির মো. ছাদেকুর রহমান বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কমিটি গঠনের কাজ করছিলাম। হাবিবুর রহমান হাবুলের নেতৃত্বে অতর্কিত হামলা চালানো হয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।”

কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান রাত সাড়ে ১১টার দিকে জানান, বর্তমানে এলাকায় পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আমার ক্যাম্পাস

Link copied!