ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, বিজেপি-অপক্ষের তীব্র কটাক্ষ ও ব্যক্তিগত আক্রমণের মুখে তিনি জনগণের সামনে নিজের যন্ত্রণা প্রকাশ করতে বাধ্য হচ্ছেন — কারণ জনগাই তার ‘প্রভু’ ও ‘রিমোট কন্ট্রোল’। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) আসামের দারাংয়ে এক জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
সমাবেশে মার্জিতভাবে নয়, কড়া প্রতিক্রিয়ায় মোদি বলেন, তিনি ‘শিবের ভক্ত’ এবং যারা তার পরিবারকে নিন্দার শিকার করছেন, তাদের কথা তিনি সহ্য করে নেবেন — ‘বিষ গিলে’ নেবেন বলেই সৎভাবে ঘোষণা করেন। তিনি দাবি করেন, বিরোধী রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলো তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত থাকবে কিন্তু তার শোক-অনুভূতি জনগণের কাছে জানাতে বিরত থাকবেন না।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিহারের একটি রাজনৈতিক মঞ্চে গত মাসে তাঁর মা হীরাবেন মোদির বিরুদ্ধে কটু মন্তব্য করা হয়েছিল—যা তিনি এবং অনেকে অনভিপ্রেত ও দুর্ভাগ্যজনক হিসেবে নিয়েছেন। মোদি বলেন, এই ধরনের অপমান শুধুমাত্র তাঁর পরিবারের প্রতি নয়, বরং দেশের মাতা ও বোনদের সম্মানকেও আঘাত করেছে। তিনি ওই ঘটনার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেছেন, তাঁর মাকে কপালে শান্তিতে শেষ নিশ্বাস নিতে না দিয়ে এমন অপমান ঘটানো নিন্দনীয়।
মোদির বক্তব্যটি এমন এক সময়ে এসেছে, যখন বিরোধী দল কংগ্রেস ও অন্যান্য মহল তাকে এবং তার পরিবারকে লক্ষ্য করে তীব্র সমালোচনা করছে। সভায় মোদি বলেন, ‘‘জনগণই আমার ঈশ্বর; তাদের সামনে আমি আমার বেদনা ব্যক্ত করি—কারণ তাদেরাই আমার রিমোট কন্ট্রোল।’’
রাজনীতিক ও সমালোচকদের সঙ্গে ব্যক্তিগত জীবন সংক্রান্ত এই উত্তেজনা দীর্ঘদিন থেকে দেশের রাজনৈতিক আঙ্গিনায় তিক্ততা বাড়িয়ে এসেছে। মোদির মায়ের মৃত্যুর প্রসঙ্গও এই বিতর্কে বারবার উঠে আসে — তিনি মনে করেন, যেন তাঁর মায়ের প্রতি করা অবমাননা পুরো সমাজের নৈতিকতাকে আঘাত করেছে।
নীতিগত ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া মিশ্র: সমর্থকরা মোদির পাশে দাঁড়াচ্ছেন এবং বিরোধীরা—সরকারি সিদ্ধান্ত ও ব্যক্তিগত কৌশল বর্ষণ করে সমালোচনা অব্যাহত রেখেছেন। রাজনৈতিক মহলে এই ঘটনার প্রভাব ও ভবিষ্যৎ প্রতিফলন কতটুকু তা দেখার বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্লেষকরা।

আপনার মতামত লিখুন :