আর্জেন্টিনায় ভয়াবহ এক হত্যাকাণ্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর দেশজুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক বিক্ষোভ। হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে নৃশংস ঘটনার দ্রুত বিচার দাবি করছেন।
ঘটনাটি ঘটে গত ১৯ সেপ্টেম্বর। স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ১৫ বছরের লারা গুটিয়ারেজ, ২০ বছরের মোরেনা ভার্দি এবং ব্রেন্ডা দেল কাস্তিল্লোকে একটি পার্টির নাম করে ভ্যানে তুলে আনা হয়। পরে নির্মমভাবে তাদের হত্যা করা হয় এবং পুরো ঘটনাটি লাইভ সম্প্রচার করা হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, একটি শক্তিশালী মাদকচক্র হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তাদের উদ্দেশ্য ছিল অন্যদের আতঙ্কিত করা। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে পাঁচজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে—তাদের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং দুইজন নারী। তবে মূল অভিযুক্ত, ২০ বছর বয়সী এক পেরুভিয়ান যুবক এখনও পলাতক রয়েছে।
জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী প্যাট্রিসিয়া বুলরিচ এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, এ হত্যাকাণ্ড আন্তর্জাতিক মাদক চক্রের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। তিনি বলেন, “আমরা অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। কোনোভাবেই ন্যায়বিচার এড়াতে দেওয়া হবে না।”
এই ঘটনায় দেশজুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বুয়েনোস আইরেসসহ বিভিন্ন শহরে নারী অধিকারকর্মী, শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ মিছিল ও সমাবেশ করছেন। তারা ব্যানার-প্ল্যাকার্ড হাতে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
স্থানীয় বিশ্লেষকরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আর্জেন্টিনায় নারী হত্যার ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো মনে করছে, এই হত্যাকাণ্ড দেশটির আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভয়াবহ চিত্র সামনে এনেছে।
সূত্র: বিবিসি

আপনার মতামত লিখুন :