টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) শৃঙ্খলা ভঙ্গ, বিভিন্ন শিক্ষার্থীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন, ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ পাঠদান পরিস্থিতি বিঘ্নিত করা এবং আইনশৃঙ্খলা অবনতির ঘটনায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ১৯ নেতাকর্মীকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
এদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকও রয়েছেন। চারজনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার, একজনকে ৫ সেমিস্টার, সাতজনকে ৪ সেমিস্টার এবং সাতজনকে ৩ সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. তৌহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, গত ২৭ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫০তম রিজেন্ট বোর্ড সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে তাদের দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত হয়। বহিষ্কৃতরা সবাই নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
আজীবন বহিষ্কৃত:
মানিক শীল (ইএসআরএম বিভাগ), মো. হুমায়ুন কবির (অর্থনীতি বিভাগ, ২০১৬-১৭), শাওন ঘোষ (অর্থনীতি বিভাগ, ২০১৭-১৮), মো. সাদিক ইকবাল (পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ২০২০-২১)।
৫ সেমিস্টার বহিষ্কার:
রায়হান আহমেদ শান্ত (পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ২০১৮-১৯)।
৪ সেমিস্টার বহিষ্কার:
খালেকুজ্জামান নোমান (অর্থনীতি বিভাগ, ২০১৮-১৯), সাখাওয়াত আহমেদ শুভ্র (গণিত বিভাগ, ২০১৭-১৮), মো. আব্দুল্লাহ সরকার উৎস (গণিত বিভাগ, ২০১৮-১৯), মো. আবিদ হাসান (মারুফ) (গণিত বিভাগ, ২০১৮-১৯), রানা বাপ্পি (রসায়ন বিভাগ, ২০১৭-১৮), মো. যোবায়ের দৌলা (রিয়ন) (রসায়ন বিভাগ, ২০১৭-১৮), নাহিদ হাসান (ব্যবস্থাপনা বিভাগ, ২০২০-২১)।
৩ সেমিস্টার বহিষ্কার:
সুজন মিয়া (অর্থনীতি বিভাগ, ২০১৯-২০), জাহিদ হাসান (হিসাববিজ্ঞান বিভাগ, ২০২০-২১), মো. নাঈম রেজা (অর্থনীতি বিভাগ, ২০২০-২১), ইমতিয়াজ আহমেদ রাজু (সিপিএস বিভাগ, ২০২০-২১), মো. রিফাত হোসেন (হিসাববিজ্ঞান বিভাগ, ২০২০-২১), ইমরানুল ইসলাম (সিপিএস বিভাগ, ২০২০-২১), মো. আনোয়ার হোসেন (অন্তর) (পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ২০১৯-২০)।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. ইমাম হোসেন বলেন, “নিয়মতান্ত্রিক তদন্ত কমিটির সুপারিশ নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
আপনার মতামত লিখুন :