ঢাকা সোমবার, ০১ ডিসেম্বর, ২০২৫

জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশ ও সোচ্চার‍‍`র যৌথ উদ্যোগে ইবিতে সেমিনার অনুষ্ঠিত

ইবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০২৫

জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশ ও সোচ্চার‍‍`র যৌথ উদ্যোগে ইবিতে সেমিনার অনুষ্ঠিত

ছবিঃ আমার ক্যাম্পাস

চব্বিশের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত বিভিন্ন ঘটনা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রেক্ষিতে তৈরিকৃত জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং প্রতিবেদন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে মানবাধিকার লঙ্ঘন, নির্যাতনের ঘটনা নথিবদ্ধকরণ এবং তরুণদের মাঝে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা 'সোচ্চার টর্চার ওয়াচডগ বাংলাদেশ' এর ছাত্র শাখা 'সোচ্চার স্টুডেন্টস নেটওয়ার্ক ইসলামিক ইউনিভার্সিটি চ্যাপ্টার' কর্তৃক এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে।

শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুর ২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ভবনের ২১২ নং কক্ষে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এতে জুলাই-আগস্ট ২০২৪ সালের ঘটনাবলির মানবাধিকার সংশ্লিষ্ট বাস্তবতা, তথ্য, বিশ্লেষণ ও সুপারিশ তুলে ধরা হয়।

বাংলাদেশের মানবাধিকার প্রতিবেদনে জাতিসংঘের প্রতিনিধিদল ৫টি বিষয়ে সুপারিশ জমা দেয়। তা হলো- জবাবদিহিতা ও বিচার বিভাগ নিশ্চিত করা, পুলিশ ও নিরাপত্তা বিভাগের অসামরিকীকরণ, নাগরিক পরিসর বৃদ্ধি, রাজনৈতিক ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক সুশাসন নিশ্চিত করা। যার ভিত্তিতে বাংলাদেশের চলমান সরকার মানবাধিকার নিশ্চিত করতে পারবে বলে মনে করছে জাতিসংঘ। 

সেমিনারে সোচ্চার স্টুডেন্ট'স নেটওয়ার্ক ইবি শাখার সভাপতি রাহাত আব্দুল্লাহ‘র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো: ওবায়দুল ইসলাম, হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান ও সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুস সবুর, আল কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি নাছির উদ্দিন মিঝি ও অধ্যাপক ড. এবিএম জাকির হোসেন, আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন, সহকারী প্রক্টর ও সোচ্চারের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো: ফখরুল ইসলাম, ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান।    

সেমিনারে আলোচক হিসেবে ছিলেন, জাতিসংঘের গর্ভনেন্স বিশেষজ্ঞ ও সিনিয়র মানবাধিকার কর্মকর্তা মো: জাহিদ হোসাইন এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শাইখ মাহদি, সোচ্চার প্রজেক্ট ম্যানেজার ও কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক সুমাইয়া তামান্না, সহকারী পরিচালক সুমাইয়া তাসনিম ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী তাজমিন আক্তার সহ প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। 

জাতিসংঘের বাংলাদেশের প্রতিনিধি জাহিদ হাসান বলেন, জাতিসংঘ সারাবিশ্বে শান্তি, নিরাপত্তা এবং মানবাধিকার নিয়ে কাজের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের গত জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মানবাধিকার লংঘন হওয়া ঘটনাগুলো লিপিবদ্ধ করেছে। এর ভিত্তিতে তৈরি করা প্রতিবেদনও জমা দিয়েছে। এটি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। 

রোহিঙ্গা গনহত্যা ও পূনর্বাসনের প্রশ্নে তিনি বলেন, 
আমার কাছে কোনও টাটকা জবাব নেই। যে কেন জাতিসংঘ পারছে না। এটা জাতিরাষ্ট্রের সমস্যা হওয়ায় জাতিসংঘের পারারও কথা না। 

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন,
'হিউম্যান রাইটস্ হাই-কমিশনের পক্ষ থেকে যে রিপোর্টি উত্থাপন করা হয়েছে তা একটি অথেনটিক রিপোর্ট। সোচ্চারের সহযোগিতায় জাতিসংঘ এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসায় তাদের ধন্যবাদ জানাই। জুলাই অভ্যুত্থানে যারা আহত ও শহীদ হয়েছে তাদের প্রতি তোমরা যে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছ এটি দীর্ঘ স্থায়ী হওয়া উচিত, কারণ এর দ্বারাই নির্মিত হবে  আগামী দিনের রাজনীতি ও এদেশের পরিবর্তনের পথ।'

উল্লেখ্য, রেজিট্রেশনকৃত শিক্ষার্থীদেরকে জাতিসংঘ ও মানবাধিকার বিষয়ক কয়েকটি বই , একটি টি-শার্ট এবং নাস্তার বব্যবস্থা করা হয়।

আমার ক্যাম্পাস/মাশুক এলাহী

Link copied!