ঢাকা সোমবার, ০১ ডিসেম্বর, ২০২৫

ইডেন কলেজে সংকট নিরসনে ‘অপরাজেয়’-এর স্মারকলিপি প্রদান

ইডেন কলেজ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২৫

ইডেন কলেজে সংকট নিরসনে ‘অপরাজেয়’-এর স্মারকলিপি প্রদান

ছবিঃ আমার ক্যাম্পাস

ইডেন মহিলা কলেজের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘অপরাজেয়’ বুধবার (৫ নভেম্বর ২০২৫) কলেজের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের নিকট কলেজের বিভিন্ন সংকট নিরসনের দাবিতে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেছে।

স্মারকলিপিতে সংগঠনটি উল্লেখ করে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত অনেক ছাত্রী পারিবারিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে ইডেন কলেজে ভর্তি হয়। কিন্তু কলেজের চিকিৎসা সুবিধার অভাব, ক্যান্টিন ও দোকানে অতিরিক্ত মূল্য আদায় এবং সার্বিক অব্যবস্থাপনা শিক্ষার অনুকূল পরিবেশকে ব্যাহত করছে।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, কলেজে একটি মেডিকেল সেন্টার থাকলেও সেখানে নিয়মিত চিকিৎসক নেই, প্রয়োজনীয় ওষুধেরও ঘাটতি রয়েছে এবং মানসিক কাউন্সেলিং সেবারও ব্যবস্থা নেই। সম্প্রতি কলেজের পুকুরে দুই শিক্ষার্থী ডুবে যাওয়ার ঘটনায় মেডিকেল সেন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা জরুরি চিকিৎসা দিতে ব্যর্থ হন—এমন ঘটনাও স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়।

এছাড়া, ক্যান্টিন, মুদি দোকান ও কম্পিউটার দোকানগুলোতে সিন্ডিকেট করে অতিরিক্ত দাম আদায়ের অভিযোগ আনা হয়। সংগঠনটির দাবি, এসব দোকান শিক্ষার্থীদের স্বার্থে অলাভজনক হওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে পণ্যের দাম গায়ের লেবেলের চেয়েও বেশি রাখা হচ্ছে। অনেক সময় শিক্ষার্থীরা আপত্তি জানালে দোকানদারদের কাছ থেকে অশোভন আচরণেরও শিকার হতে হয়।

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, কলেজে কোনো ফার্মেসি না থাকায় শিক্ষার্থীদের নিত্যপ্রয়োজনীয় ওষুধ কিনতেও বাইরে যেতে হয়। দোকানগুলোয় বিক্রিত এলজিন, নাপা, ম্যাট্রিল, সেকলো, প্যারাসিটামল ও এলাট্রলসহ সাধারণ ওষুধের দামও বাইরের তুলনায় বেশি রাখা হচ্ছে।

সংগঠনটি এসব সমস্যার দ্রুত সমাধানে কলেজ প্রশাসনের প্রতি পাঁচটি দাবি উত্থাপন করেছে—

১. মেডিকেল সেন্টারে নিয়মিত চিকিৎসা সেবা ও কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
২. প্রয়োজনীয় ওষুধসহ একটি ফার্মেসি স্থাপন ও ফার্মাসিস্ট নিয়োগ করা।
৩. সব ক্যান্টিনে একক মূল্য নির্ধারণ ও মানসম্মত খাদ্য নিশ্চিত করা।
৪. কম্পিউটার দোকানগুলোর পণ্য ও সেবার মূল্য শিক্ষার্থীবান্ধব করা।
৫. কলেজ লাইব্রেরির সময় রাত ৮টা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা।

‘অপরাজেয়’-এর সভাপতি প্রত্যয়ী প্রীতু ও সাধারণ সম্পাদক সানজিদা হক স্বাক্ষরিত এই স্মারকলিপিতে সংগঠনটি আশা প্রকাশ করেছে যে কলেজ প্রশাসন দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেবে, যাতে শিক্ষার্থীরা একটি নিরাপদ, সুষ্ঠু ও শিক্ষাবান্ধব পরিবেশে অধ্যয়ন চালিয়ে যেতে পারেন।

আমার ক্যাম্পাস/তানজিলা আক্তার মাসুমা

Link copied!