ঢাকা মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫

কুবিতে ফুটবল টুর্নামেন্টে মারধরের ঘটনায় মার্কেটিং বিভাগকে বহিষ্কারের দাবি

কুবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২৫

কুবিতে ফুটবল টুর্নামেন্টে মারধরের ঘটনায় মার্কেটিং বিভাগকে বহিষ্কারের দাবি

ছবিঃ আমার ক্যাম্পাস

 

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টে মারধরের ঘটনায় মার্কেটিং বিভাগকে ৫ বছরের জন্য বহিষ্কার এবং হামলার সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনে ৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (২৬ অক্টোবর ২০২৫) ক্রীড়া পরিচালক কমিটির আহ্বায়ক বরাবর এক অভিযোগ পত্রে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ দাবি জানায়। 

অভিযোগ পত্রে বলা হয়, গত ২৩ অক্টোবর প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ ও মার্কেটিং বিভাগের মধ্যে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার দ্বিতীয়ার্ধে দর্শকসারি থেকে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী শাফায়েত (১৪তম ব্যাচ) মাঠে নেমে এসে গোলকিপার হাসমতের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। এক পর্যায়ে তার সাথে যুক্ত হন মার্কেটিং দলের ক্যাপ্টেন মুজিব (মার্কেটিং ১৪তম আবর্তন)। তিনিও কিল-ঘুসি মারতে থাকেন।
অভিযোগ পত্রে আরও বলা হয়, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের খেলোয়াড় বরকত (প্রত্নতত্ত্ব ১৯তম আবর্তন) তাদের থামানোর চেষ্টা করলে পেছন থেকে মার্কেটিং দলের খেলোয়াড় শাফিন (মার্কেটিং ১৬তম আবর্তন) তাকে মাথায় আঘাত করেন। গোলকিপার হাসমত সেখান থেকে বাঁচার চেষ্টা করলে মার্কেটিং বিভাগের খেলোয়াড় ইসনাত (মার্কেটিং ১৫তম আবর্তন) তাকে দৌড়ে এসে লাথি মারেন এবং তার সাথে যোগ দেন মার্কেটিং এর দর্শক হৃদয় (মার্কেটিং ১৯তম আবর্তন) এবং মাহবুব (মার্কেটিং ১৬তম আবর্তন), শাফিন (মার্কেটিং ১৬তম আবর্তন), ইসনাত (মার্কেটিং ১৫তম আবর্তন), সাব্বির (মার্কেটিং ১৬তম আবর্তন) মারধর করে মাটিতে ফেলে দেন। মাটিতে পড়ার পরও ক্যাপ্টেন মুজিব (মার্কেটিং ১৪তম আবর্তন) ও সৌরভ (মার্কেটিং ১৮তম আবর্তন) তাকে অনবরত বুট দিয়ে মাথা, পিঠ ও পায়ে আঘাত করতে থাকেন। পরবর্তীতে হাসমত (প্রত্নতত্ত্ব ১৮তম আবর্তন) ও বরকত (প্রত্নতত্ত্ব ১৯তম আবর্তন) কে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যাম্বুলেন্সযোগে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল নেয়া হয় এবং সেখানের কর্তব্যরত ডাক্তারের পরামর্শে অধিকতর চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল-এ স্থানাত্তর করা হয়।

প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধিনায়ক শাহিনুর রহমান গালিব বলেন, খেলার মধ্যে প্লেয়ারদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হবেই সেখানে মাঠ থেকে দর্শক নেমে প্লেয়ারকে হিট করা এটা কোনো ভাবেই কাম্য নয়। ওই দলের প্লেয়ার থেকে শুরু করে দর্শক সবাই রীতিমতো আমাদের প্লেয়ারদের মারছে। ভিডিওগুলো দেখলেই বুঝতে পারবে। এগুলো উল্লেখ করে প্রশাসনের কাছে শাস্তির জন্য আবেদন জানাইছি বিশেষ করে শাফায়েত,শাফিন,হৃদয় ১৯ ব্যাচ,এক কথায় মোস্ট জুনিয়র থেকে সিনিয়র ব্যাচের সবাই রীতিমতো মারছে আমাদেরকে। আমাদের বিভাগের কোনো প্লেয়ারই কারো গায়ে হাত তুলে নাই।

এ বিষয়ে ক্রীড়া কমিটির আহ্বায়ক ড. সোহরাব উদ্দিন বলেন, মাঠের ঝামেলা নিয়ে তারা আবেদন করেছে আমরা সেই চিঠিটা গ্রহন করেছি। ক্রীড়া কমিটি খেলা পরিচালনা করে কিন্তু মাঠে শৃঙ্খলা ভঙ্গের ঘটনা ঘটেছে এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে কমিটি গঠন করা হবে। মাঠের যে ঘটনা ঘটেছে সেটা এভিডিয়েন্স দিয়ে কমিটি আমাদেরকে রিপোর্ট দিবে সেই অনুযায়ী প্রশাসন কাজ করবে। 
স্থগিত হওয়া খেলা কবে চালু হবে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উক্ত সমস্যার সমাধান দ্রুত সময়ে করেই আমরা বাকি খেলা শুরু করবো।

আমার ক্যাম্পাস/ফয়সাল

Link copied!