ঢাকা মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫

সাক্ষ্য দিয়ে হয়রানির শিকার যবিপ্রবি কর্মচারী: বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ

যবিপ্রবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২৫

সাক্ষ্য দিয়ে হয়রানির শিকার যবিপ্রবি কর্মচারী: বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ

ছবিঃ আমার ক্যাম্পাস

অপকর্মের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ায় হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) এক পরিচ্ছন্নতা কর্মী। নারায়ণ বিশ্বাস নামের ঔই কর্মী এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়ে বিচার চেয়েছেন।

রবিবার (২৬ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস বরাবর ডেপুটি রেজিস্ট্রার (নিরাপত্তা ও এস্টেট শাখা) মো. জাহাঙ্গীর কবিরের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ জমা দেন তিনি।

জানা যায়, চলতি বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ডরমিটরি থেকে কিছু আসবাবপত্র আত্মসাতের চেষ্টা চালানোর অভিযোগ ওঠে কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর কবিরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় প্রত্যক্ষ সাক্ষী হিসেবে তদন্ত কমিটির কাছে সাক্ষ্য দেন তার দপ্তরে কর্মরত পরিচ্ছন্নতা কর্মী নারায়ণ বিশ্বাস। এরপর থেকেই তাকে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

অভিযোগপত্রে নারায়ণ বিশ্বাস বলেন, “গত ২৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের আসবাবপত্র চুরির ঘটনায় সত্য সাক্ষ্য দেওয়ার পর থেকে অভিযুক্ত ডেপুটি রেজিস্ট্রার জাহাঙ্গীর কবির স্যার আমাকে নানাভাবে হয়রানি করছেন। এতে আমি মানসিক ও শারীরিকভাবে ভীষণ কষ্ট পাচ্ছি। ২১ অক্টোবর আমার মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নিতে হয়। আগে থেকে ছুটি নেওয়া সম্ভব না হওয়ায় সহকারী রেজিস্ট্রার আজমল হোসেন পান্নু স্যারকে ফোন করি, কিন্তু কোনো সাড়া পাইনি। পরে জানতে পারি, জাহাঙ্গীর স্যার নাকি পান্নু স্যারকে ফোন ধরতে দেননি।
তিনি আরো জানান, শুধু তাই নয়, ঐ দিনই আমার বিরুদ্ধে ‘ছুটি না নিয়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার’ অভিযোগ দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। এরপর শুনতে পাই, আমাকে ঝিনাইদহ ক্যাম্পাসে বদলির জন্যও তিনি নানান জায়গায় তদবির করছেন। এতে আমি ও আমার পরিবার মারাত্মক উদ্বেগে আছি। ঝিনাইদহে বদলি হলে আমার দুই সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে বিপদের মুখে পড়বো। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে সত্য কথা বলেছি, সেটাই কি আমার অপরাধ? আমি এর ন্যায়বিচার চাই।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. ওমর ফারুক বলেন, “অভিযোগপত্রটি হাতে পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হবে। আজ বিকেলেই আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করছি। কর্মচারীর ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই, তার কোনো ক্ষতি হবে না।”

আমার ক্যাম্পাস/ইমরান হোসেন

Link copied!