রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটের নবনির্বাচিত ছাত্রপ্রতিনিধিদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত প্রতিনিধিরা আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. এফ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. সেতাউর রহমানের সঞ্চালনায় রাকসুর সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব কেন্দ্রীয় সংসদ এবং সিনেট ছাত্রপ্রতিনিধিদের শপথবাক্য পাঠ করান। একই সময় ১৭টি আবাসিক হলের প্রভোস্টরা নিজ নিজ হল সংসদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের শপথ পড়ান। দীর্ঘ তিন দশকের বেশি সময় পর অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনের প্রতিনিধিরা আগামী এক বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন।
শপথ গ্রহণ শেষে রাকসুর সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) সালমান সাব্বির বলেন, “আমাদের দেওয়া ইশতেহারের প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নে আমরা কাজ শুরু করবো। কিছু বিষয় দ্রুত বাস্তবায়ন করা সম্ভব, কিছু বিষয় হয়তো সময়সাপেক্ষ—তবুও শিক্ষার্থীদের স্বার্থেই সব পরিকল্পনা আমরা এগিয়ে নিতে চাই।”
রাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দীন আম্মার বলেন, “শিক্ষার্থীরা তাদের ভোটের মাধ্যমে যে বিশ্বাস দেখিয়েছে, তার মর্যাদা রাখাই এখন আমার একমাত্র লক্ষ্য। আমরা চাই, বিজিত প্রার্থীরাও শিক্ষার্থীদের কল্যাণে আমাদের সঙ্গে একসাথে কাজ করুক। দীর্ঘ ৩৫ বছর রাকসুর কোনো কার্যক্রম ছিল না—এ সময়ের মধ্যে রাকসু ফান্ডের টাকাগুলোর হিসাব আমরা প্রথম অধিবেশনেই প্রশাসনের কাছে জানতে চাইবো। এক বছরের শেষে শিক্ষার্থীদের সামনে সব হিসাব উন্মুক্ত করবো।”
সহসভাপতি (ভিপি) মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, “৩৫ বছরের অচলাবস্থা ভেঙে আমরা নতুন সূচনা করলাম। এটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ঐতিহাসিক একটি মুহূর্ত। আমরা সকল ইউনিটের ইশতেহার একত্র করে উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে বাজেট ও বাস্তবায়ন পরিকল্পনা নির্ধারণ করবো।”
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দীন খান, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন মজুমদারসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও শিক্ষকবৃন্দ।
উল্লেখ্য, গত ১৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত রাকসু নির্বাচনে ২৩টি পদের মধ্যে ২০টিতেই জয়ী হন ছাত্রশিবির সমর্থিত সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থীরা। সহসভাপতি নির্বাচিত হন মোস্তাকুর রহমান জাহিদ, সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দীন আম্মার এবং সহসাধারণ সম্পাদক এস এম সালমান সাব্বির।

আপনার মতামত লিখুন :