চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে সকাল থেকেই ভোটারদের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণে অংশ নিতে শিক্ষার্থীরা ভোর থেকেই ক্যাম্পাসে ভিড় জমাতে থাকেন। নারী ভোটারদের উপস্থিতি তুলনামূলকভাবে বেশি হওয়ায় বিভিন্ন কেন্দ্রে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ২৭ হাজার ৫১৬ জন, এর মধ্যে ১১ হাজার ৩২৯ জন ছাত্রী। সকাল থেকেই কলা, সমাজবিজ্ঞান, বিজ্ঞান, বাণিজ্য (বিবিএ) এবং আইটি অনুষদের ভোটকেন্দ্রগুলোতে নারী শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ সারি চোখে পড়ে।
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী তানিয়া বলেন, “গত রাত থেকেই ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি। জীবনের প্রথম ভোট দিতে পারব ভেবে খুবই উচ্ছ্বসিত ছিলাম, সারারাত ঘুমাতে পারিনি।”
চাকসু নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সংসদের ২৬টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪১৫ জন প্রার্থী, আর ১৫টি হল ও হোস্টেল সংসদের প্রতি সংসদে ১৪টি করে পদে লড়ছেন মোট ৪৯৩ জন প্রার্থী। সবমিলিয়ে প্রার্থী সংখ্যা ৯০৮ জন।
ভোটগ্রহণ চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫টি অনুষদ ভবনের ১৫টি কেন্দ্রে এবং মোট ৬০টি ভোটকক্ষে। দৃষ্টিহীন শিক্ষার্থীদের জন্য চাকসু ভবনের দ্বিতীয় তলায় পৃথক ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
এবারের নির্বাচনে ওএমআর ব্যালট শিটে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। চাকসুর জন্য চার পৃষ্ঠার ব্যালট, আর হল ও হোস্টেল সংসদের জন্য এক পৃষ্ঠার ব্যালটে ভোট দেওয়া হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় সংসদে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ২৪ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ২২ জন, এবং সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
প্রত্যেক হলে ১৪টি করে পদ থাকায় মোট ২১০টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে ছাত্রীদের ৫টি আবাসিক হলে ৭০টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১২৩ জন প্রার্থী। তবে ১৬টি পদে একক প্রার্থী থাকায় সেখানে ভোট হচ্ছে না; বাকি ৫৩টি পদে ভোটগ্রহণ চলছে।
দীর্ঘ ৩৫ বছর পর আয়োজিত এই নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ও উচ্ছ্বাসে উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে পুরো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।
আপনার মতামত লিখুন :