ঘোষিত ফলাফলে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে নির্বাচিত হয়েছেন বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়াছিন আল মৃদুল দেওয়ান। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে জয়ী হয়েছেন ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্সেস বিভাগের মো. রায়হান খান। সহকারী সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে বিজয়ী হয়েছেন সামিউল হাসান শোভন।
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৪ হাজার ৭৬১ জন, ভোট দিয়েছেন প্রায় ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলে। ১১টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৬৩ জন প্রার্থী। ভোট গণনার দৃশ্য এলইডি স্ক্রিনে প্রদর্শন করা হলেও স্বচ্ছতা নিয়ে কিছু প্রার্থী প্রশ্ন তুলেছেন।
অন্যান্য পদে বিজয়ীরা হলেন— কোষাধ্যক্ষ খন্দকার আব্দুর রহিম, ক্রীড়া সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ, সহ-ক্রীড়া সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. মারুফ, সহ-সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক লীশা চাকমা, দপ্তর সম্পাদক শারমিন আক্তার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস এবং সমাজকল্যাণ ও ক্যান্টিন সম্পাদক মো. মনোয়ার হোসেন অন্তর।
অনুষদভিত্তিক প্রতিনিধিদের মধ্যে কৃষি অনুষদে বিজয়ী হয়েছেন মহিউল আলম দোলন, ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদে মো. হুমায়ুন কবির, কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে শাকিল আহমেদ, মো. সেলিম আহমেদ অলি, মো. মেহেদি হাসান ও মিনতুজ আক্তার মিম (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত), বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদে মেহেরুন খিলজি মিতু ও মো. ইমদাদুল হক মিলন এবং স্বাস্থ্য বিজ্ঞান অনুষদে নাশরুন সেঁজুতি অরণি ও পার্থ সরকার।
প্রসঙ্গত, দেশের একমাত্র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ কার্যক্রম চালু রয়েছে। ২০১৩ সালে প্রথমবার গকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ ২০১৮ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে তৃতীয় কার্যনির্বাহী সংসদ গঠিত হলেও প্রশাসনিক জটিলতায় সংসদ পুরো মেয়াদ কাজ করতে পারেনি। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে সেই সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর এ বছর অনুষ্ঠিত হলো চতুর্থ গকসু নির্বাচন।
আপনার মতামত লিখুন :