জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) টিনশেড ফুডকোর্ট নির্মাণে প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা ব্যয় হলেও কাজ শেষ হয়নি। এ কারণে নতুন করে প্রশাসনের কাছে বাজেট দাবি করেছে প্রকৌশলী দপ্তর। তবে নতুন বাজেটে কত টাকা লাগবে তা নির্দিষ্ট করে জানানো হয়নি।
প্রকৌশলী দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ফুডকোর্ট নির্মাণ তিনটি ধাপে সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ব্যয় হয়েছে ৫ লাখ ৯৭ হাজার টাকা, দ্বিতীয় ধাপে ৫ লাখ ৯৮ হাজার টাকা এবং তৃতীয় ধাপে ৯৮ হাজার টাকা। দ্বিতীয় ধাপে ফুডকোর্ট ও ড্রেনেজের কাজ করা হয়, আর তৃতীয় ধাপে অন্তর্ভুক্ত ছিল বৈদ্যুতিক কার্যক্রম।
সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) মো. ওয়ালিউল ইসলাম এই তিন ধাপের ব্যয়ের হিসাবের ফাইল দেখালেও তা পরিষ্কার মনে হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, তিনি প্রথম দুই ফাইল দেখাতে দেরি করেছেন এবং অন্য একটি ফাইল খুঁজে পেতেও সময় লাগবে বলে জানিয়েছে।
নতুন বাজেটে ফুডকোর্টের সামনে একটি বাগান, টেবিলের উপর ছাতা স্থাপন এবং ছোট একটি ছাউনির কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা গেছে।
ফুডকোর্ট নির্মাণে অর্থ ব্যয়ের স্বচ্ছতা প্রসঙ্গে শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. রইস উদ্দীন বলেন, “আমার কাছে ফুডকোর্ট নির্মাণে অর্থের ধোঁয়াশা মনে হয়েছিল, এজন্য আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি।”
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ড. মাহমুদুল হাসান ফৈজি জানান, “ফুডকোর্টের সিভিল ও বৈদ্যুতিক কাজ পিডব্লিউডি রেট শিডিউল অনুযায়ী সম্পন্ন হয়েছে। ঠিকাদার কর্তৃক দাখিলকৃত বিলের সঙ্গে উপকরণের সংখ্যা মিল পেয়েছি। পূর্ত কাজ পরিদর্শনেও কোনো ত্রুটি ধরা পড়েনি।”
উল্লেখ্য এত ছোট একটি টিনশেড ফুডকোর্ট নির্মাণে ১৩ লক্ষ টাকা অর্থ ব্যয় হলেও কাজ অসম্পূর্ণ থাকায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তাদের অভিযোগ, প্রকৌশলী দপ্তরের প্রদর্শিত হিসাব স্বচ্ছ মনে হয়নি, বরং নতুন বাজেট দাবি আরও প্রশ্ন তৈরি করেছে।

আপনার মতামত লিখুন :