রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার পরেও পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) শিবিরের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি বন্দে আলী মিয়া মুক্তমঞ্চে শিবিরের নেতা-কর্মীদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে মিটিং করতে দেখা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রায় অর্ধশতাধিক নবীন শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ মিটিং হয়। নবীন শিক্ষার্থী ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের একাধিক নেতা-কর্মী এতে উপস্থিত ছিলেন। মিটিংয়ে বক্তব্য রাখার জন্য উপস্থিত ছিলেন পাবনা শহর শিবিরের সভাপতি গোলাম রহমান জয়। আজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই মিটিংয়ের ছবি এবং ভিডিও শেয়ার করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিবির নেতা।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গত বছরের ১৩ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের নীতিনির্ধারকদের জরুরি আলোচনা এবং বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০১ এর ধারা ১১(১২) অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের রাজনৈতিক কার্যকলাপ নিষিদ্ধ করা হয়। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই শিবিরের প্রকাশ্যে এমন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
ইংরেজি বিভাগের ২০২৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মজনু আলম বলেন, ক্যাম্পাসের ভেতরে রাজনীতি নিষিদ্ধ। ক্যাম্পাসে কোনো দলের কার্যক্রম পরিচালনাকে আমি সমর্থন করি না। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ক্যাম্পাসে রাজনীতি করা যাবে না। তাদের ক্যাম্পাসের ভেতরে বাইরে থেকে নেতা এনে কর্মকাণ্ড পরিচালনা উচিত হয়নি। আমি প্রশাসনের কাছে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের চাওয়া ভিত্তিতে ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ রয়েছে। আমরা চাই ছাত্র সংগঠনগুলো দায়িত্বশীল আচরণ করুক।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্র শিবিরের পাবনা শহর শাখার সভাপতি গোলাম রহমান জয় বলেন, এটা আমাদের দলীয় কোন মিটিং ছিল না। নবীন শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিটনেস ক্লাব ক্রিকেট খেলার আয়োজন করেন। আমি খেলা দেখতে যাই। ক্রিকেট খেলা শেষে আমরা মুক্ত মঞ্চে সিনিয়র-জুনিয়র সবাই বসি। সেখানে নবীন শিক্ষার্থীরা নতুন জায়গায় কীভাবে চলাফেরা করবে এ ব্যাপারে আমি মিনিট কয়েক কথা বলি। এখন কে বা কারা দলীয় নাম ব্যবহার করে ফেসবুকে পোস্ট করেছে এবিষয়ে আমি অবগত নই।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান খান বলেন, আমি কিছুদিন ধরে ফেসবুক ব্যাবহার করছিনা। তবে আজ আমি এবিষয়ে অবগত হয়েছি। তারা অনুমতি না নিয়ে এটা করেছে। তারা এমনটা কেন করছে তা জানতে আমি তাদেরকে প্রক্টর অফিসে ডাকবো।
আপনার মতামত লিখুন :