ঢাকা সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
চট্টগ্রামের পটিয়া

২০ টাকা চুরির অপবাদে শিক্ষার্থীর হাত ঝলসে দিলো শিক্ষক

আমার ক্যাম্পাস প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৫

২০ টাকা চুরির অপবাদে শিক্ষার্থীর হাত ঝলসে দিলো শিক্ষক

ছবিঃ সংগৃহীত

চট্টগ্রামের পটিয়ায় ২০ টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে সাত বছরের এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর হাত গরম পানিতে চুবিয়ে ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২১ আগস্ট রাতে পটিয়া পৌর সদরের শাহ মজিদিয়া রশিদিয়া হেফজখানা ও এতিমখানায়।

আহত শিশুটির নাম মো. সোহান (৭)। সে বোয়ালখালীর পোপাদিয়া এলাকার বাসিন্দা মো. হেনাম উদ্দীনের ছেলে। বর্তমানে মামার বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করছে সে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ওইদিন রাত আনুমানিক সাড়ে নয়টার দিকে চুরির অভিযোগ তুলে মাদ্রাসার এক শিক্ষক সোহানের হাত গরম পানিতে চুবিয়ে রাখার নির্দেশ দেন। শিক্ষকের কথামতো কয়েকজন সহপাঠী জোর করে তার হাত ফুটন্ত পানিতে ডুবিয়ে রাখে। কান্নাকাটি ও চিৎকার সত্ত্বেও কেউ থামায়নি। পরে আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পরিবারের কাছে পাঠানো হয়।

এ ঘটনায় ৪ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী শিশুর বাবা পটিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। অভিযোগে বলা হয়, শিক্ষক জাবেদসহ কয়েকজন সোহানকে নির্যাতন করে এবং বিষয়টি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি; বরং পরিবারকে ভয়ভীতি ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

শিশুটির বাবা হেনাম উদ্দীন বলেন, “আমার ছেলের ওপর নির্মম নির্যাতন হয়েছে। এখন আমি পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।”

শিশুটির মামা শওকত আকবর জানান, ভাগ্নের অবস্থা গুরুতর এবং উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। অথচ মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এ বিষয়ে শাহ মজিদিয়া রশিদিয়া মাদ্রাসার সেক্রেটারি মো. ইসহাক দাবি করেন, ঘটনাটি অতিরঞ্জিত। তার ভাষায়, “শিশুটি মজার ছলে সহপাঠীদের সঙ্গে হাত পানিতে ডুবিয়েছে। তখন শিক্ষক মাদ্রাসায় ছিলেন না। গরম পানি ছিল চর্মরোগের ওষুধ প্রয়োগের জন্য। পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তথ্য সংগ্রহ করেছে।”

অন্যদিকে, পটিয়া থানার ওসি মো. নুরুজ্জামান জানান, অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আমার ক্যাম্পাস

Link copied!