ঢাকা কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়ের খসড়া অধ্যাদেশ বাতিল না করা হয়, তারা বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে। রবিবার (১২ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা সরকারের কাছে ১০ দফা দাবি তুলে ধরেন এবং চার দিনের মধ্যে পদক্ষেপ না নিলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করার ঘোষণা দেন।
মীর সরফত আলী সপু লিখিত বক্তব্যে বলেন, ঢাকা কলেজের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও স্বাতন্ত্র্য রক্ষা করা দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। কলেজের জমি অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যবহার বা হস্তান্তর গ্রহণযোগ্য নয়। তাদের দাবি, উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও পরীক্ষা-নির্বাহী অধিকার রক্ষা করা হোক।
১০ দফা দাবির মধ্যে মূল বিষয়গুলো হলো দেশের প্রাচীন বিদ্যাপীঠের ঐতিহ্য সংরক্ষণ, উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষা, সিলেবাস অনুযায়ী শিক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন করা, শিক্ষার্থী-শিক্ষক অনুপাত যৌক্তিক রাখা, প্রয়োজনীয় কর্মী নিয়োগ, মেধা বৃত্তি, আবাসন ও শিক্ষাঋণ সুবিধা নিশ্চিত করা। এছাড়া শিক্ষার্থীদের খেলাধূলা ও সহশিক্ষা কার্যক্রমে সুযোগ বৃদ্ধি, নিম্নবিত্ত ও নারী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করা, সাতটি সরকারি কলেজের স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখা, প্রাপ্ত মতামতের ভিত্তিতে বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং হাইব্রিড বা অপ্রচলিত শিক্ষাকাঠামোর পরীক্ষা প্রয়োগ না করা।
মীর সরফত আলী সপু বলেন, আমরা চাই শিক্ষার্থীদের লেখা-পড়ার পরিবেশ ফিরে আসুক এবং শিক্ষাক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা দূর হোক।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, সাবেক জিএস জাকির হোসেন, হারুনুর রশিদ হারুন, সাবেক জিএস এস এ এইচ এম জাভেদ এবং অন্যান্য প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। তারা জানিয়েছেন, প্রস্তাবিত অধ্যাদেশ বাস্তবায়ন হলে ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক শিক্ষা ও ভর্তি প্রক্রিয়া বিপন্ন হবে। তাই অধ্যাদেশ বাতিল না করা হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাবেন।
আপনার মতামত লিখুন :