পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) কৃষি অনুষদের অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান মুন্না ও তিন শিক্ষার্থীর সঙ্গে ইউনিক পরিবহনের এক ড্রাইভার ও হেল্পারের দুর্ব্যবহার ও প্রাণনাশের হুমকির ঘটনায় জড়িতদের আজীবনের জন্য চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এ ছাড়া অভিযুক্ত ড্রাইভারের ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশও করা হয়েছে।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) ইউনিক পরিবহনের এডমিন এম এ মিন্টুর স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি অফিস আদেশে ক্ষমা প্রার্থনার পাশাপাশি এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। অভিযুক্ত ড্রাইভার মো. জসিম, বরগুনার আমতলী থানার দক্ষিণ তাঁরিকাটা গ্রামের বাসিন্দা। তার হেল্পার ছিলেন নিজ পুত্র মো. শাকিল। গত ৪ আগস্ট কুয়াকাটা থেকে ঢাকাগামী ইউনিক পরিবহনের একটি বাসে পবিপ্রবির ওই শিক্ষক ও তিন শিক্ষার্থীকে হেনস্থা, দুর্ব্যবহার ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা পটুয়াখালীর ইউনিভার্সিটি স্কয়ার থেকে একটি ইউনিক পরিবহনের বাস ক্যাম্পাসে নিয়ে আসে।
পরদিন ৫ আগস্ট বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি, শিক্ষার্থীরা ও ইউনিক পরিবহনের কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রক্টর অফিসে বৈঠক হয়। বৈঠকে ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পর ড্রাইভার জসিম ও হেল্পার শাকিলকে আজীবনের জন্য চাকরিচ্যুত করা হয়। অফিস আদেশে বলা হয়, “ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক বা শিক্ষার্থীরা যদি আইনগত ব্যবস্থা নেন, সেক্ষেত্রে ইউনিক পরিবহন কোনো ধরনের বাধা সৃষ্টি করবে না।”
প্রক্টর আবুল বাশার খান বলেন,
“এ ধরনের হেনস্থা ভবিষ্যতে যেনো কেউ করার দুঃসাহস না দেখায়, আজকের এই ব্যবস্থা তা নিশ্চিত করবে। এটি সব চালক ও সংশ্লিষ্টদের জন্য সতর্কবার্তা।”
আপনার মতামত লিখুন :