মানিকগঞ্জের ঘিওর থানার ভেতরে মোটরসাইকেল রাখাকে কেন্দ্র করে পুলিশ সদস্যদের হেনস্তার অভিযোগে বিএনপির ৩৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে ঘিওর থানার এএসআই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। এতে নাম উল্লেখ করা হয়েছে ৯ জনের এবং অজ্ঞাত হিসেবে আসামি করা হয়েছে আরও ৩০ জনকে।
মামলার আসামিরা সবাই মানিকগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী, দলের প্রয়াত মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের বড় ছেলে খন্দকার আকবর হোসেন বাবলুর অনুসারী। নাম প্রকাশিত আসামিরা হলেন—ঘিওর সদর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মীর কাওসার, বিএনপি নেতা খন্দকার বিল্টু, খন্দকার সেলিম জিএস, উজ্জল হোসেন, হারেজ মিয়া, রফিকুল ইসলাম পিন্টু, রাজু খন্দকার, শহিদুল ইসলাম চান্দু ও শফিউল আলম বিল্টু। তারা জেলা ও উপজেলা বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।
এজাহারে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খন্দকার আকবর হোসেন বাবলু মাইক্রোবাসসহ ১০ থেকে ১২টি মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে ঘিওর থানার ভেতরে প্রবেশ করেন। তারা মোটরসাইকেলগুলো থানার ভেতর রাখতে চাইলে দায়িত্বে থাকা নারী কনস্টেবল আন্না আক্তার বাধা দেন। এতে নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। বিষয়টি ডিউটি অফিসার এএসআই রফিকুল ইসলামকে জানালে তিনিও আসামিদের কাছ থেকে অকথ্য গালাগাল ও মারধরের শিকার হন। খবর পেয়ে থানার পেছনে দায়িত্বে থাকা অন্য পুলিশ সদস্যরা এগিয়ে এলে তাদেরও হুমকি দেওয়া হয়।
মামলার বাদী এএসআই রফিকুল ইসলাম বলেন, “একজন পুলিশের গায়ে হাত তোলার ঘটনা অত্যন্ত কষ্টকর ও লজ্জাজনক। এজন্য আমি মামলা করেছি এবং বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।”
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য খন্দকার আকবর হোসেন বাবলু বলেন, “আওয়ামী লীগের দোসর পুলিশ নেতাকর্মীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে। আমাদের থানায় ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে। পুলিশকে গালাগাল বা মারধরের ঘটনা ঘটেনি; বরং পুলিশই নেতাকর্মীদের সঙ্গে অসদাচরণ করেছে।”
ঘিওর থানার ওসি কহিনুর ইসলাম জানান, এএসআই রফিকুল ইসলামের দায়ের করা মামলায় ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে এবং বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কাজ করছে।
আপনার মতামত লিখুন :