গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস যদি দ্বিতীয়বার শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান, তবে সেটা তাঁর সরলতার কারণেই পাওয়া উচিত।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রাশেদ খান লিখেছেন, ড. ইউনূস মঞ্চে দুজন রাজনৈতিক প্রতিনিধিকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলেছেন, “these are the guys fighting on the street।” অথচ মঞ্চে উপস্থিত বাকি চারজনকেও রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় দেখা গেছে। এতে বোঝা যায়, ড. ইউনূস কাকে বেশি ভালোবাসেন, সেটা খোলাখুলি প্রকাশ করেন। “নিরপেক্ষতার অভিনয় তিনি বোঝেন না, যা তাঁর সরলতার পরিচয়”—মন্তব্য করেন রাশেদ খান।
তিনি আরও লেখেন, অন্যান্য উপদেষ্টা মাঝে মাঝে তাঁকে মনে করিয়ে দেন—সব পক্ষের প্রতিই সমান ভালোবাসা দেখাতে হবে। নইলে অন্তর্বর্তী সরকারকে কেউ পক্ষপাতদুষ্ট মনে করতে পারে। তখন ড. ইউনূস সরল ভঙ্গিতে বলেন, “ও, তাই নাকি! ঠিক আছে, তাদেরকেও ডাকো।”
গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা মনে করেন, ড. ইউনূসের এই স্বভাব বিরল। তাঁর ভাষায়, “ডক্টর ইউনূস যদি দ্বিতীয়বার নোবেল পান, সেটা সরলতার জন্যই পাওয়া উচিত। আমরা সবাই তাঁর জন্য দোয়া করি, তিনি যেন এই স্বভাব ধরে রাখতে পারেন।”
প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে নরওয়ের নোবেল কমিটি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান করে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তাঁর প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংককে। ১৯৭৬ সালে চট্টগ্রামের জোবরা গ্রামে পরীক্ষামূলকভাবে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম শুরু করেন তিনি, যা পরে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
আপনার মতামত লিখুন :