বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে অবশেষে সরকারের পক্ষ থেকে বাড়ি ভাতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত এসেছে। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সচিবালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, দুই ধাপে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাতা ১৫ শতাংশ করা হবে।
সরকারের এই ঘোষণার পর ২০ শতাংশ বাড়ি ভাতা বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকরা তাদের চলমান কর্মসূচি সাময়িকভাবে স্থগিত ঘোষণা করেছেন।
এর আগে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,
“সরকারের বিদ্যমান বাজেটের সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় নিয়ে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাতা ভাতা ১ নভেম্বর ২০২৫ থেকে মূল বেতনের ৭.৫ শতাংশ (সর্বনিম্ন ২০০০ টাকা) এবং ১ জুলাই ২০২৬ থেকে আরও ৭.৫ শতাংশ বৃদ্ধি করে মোট ১৫ শতাংশ (সর্বনিম্ন ২০০০ টাকা) নির্ধারণ করা হলো।”
অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোস. শরিফুন্নেসা স্বাক্ষরিত এই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই সুবিধা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট নীতিমালা ও আর্থিক বিধি-বিধান অনুসরণ করতে হবে।
এর আগে ১২ অক্টোবর থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা জাতীয় প্রেসক্লাব, শহীদ মিনার ও শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি, মিছিল ও অবরোধসহ নানা আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছিলেন।
শিক্ষকদের তিন দফা দাবিগুলো ছিল—
১️ মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা,
২️ চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১,৫০০ টাকা করা,
৩️ উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ করা।
সরকারের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে তাদের একটি দাবির আংশিক বাস্তবায়ন (বাড়িভাড়া ১৫ শতাংশ) ঘোষণা করায় শিক্ষক নেতারা জানিয়েছেন, সরকারের প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
শিক্ষক ফেডারেশনের এক নেতা বলেন,
“আমরা সরকারের সিদ্ধান্তকে ইতিবাচকভাবে নিচ্ছি। এখন বাস্তবায়ন কেমন হয়, সেটি দেখব। প্রয়োজনে আবার আন্দোলনে ফিরব।”
আপনার মতামত লিখুন :