চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার মামলায় প্রধান উপদেষ্টা দপ্তরের বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (এসএসএফ) অফিস স্টাফ মো. ইমরানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামানের আদালত মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) শুনানির শেষে এ আদেশ দেন। মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী দুলাল মিত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত ১৭ আগস্ট আদালত বাদীর সঙ্গে আসামির আপসের শর্তে ধার্য তারিখ পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেছিলেন। তবে উভয় পক্ষের মধ্যে আপস না হওয়ায় আদালত ওই জামিন বাতিল করে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালতের তথ্য অনুযায়ী, আসামি বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টা দপ্তরে এসএসএফের চতুর্থ শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন। কিন্তু প্রতারণার সময় নিজেকে এসএসএফ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন।
মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে অফিস সহায়ক পদে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে চাকরির জন্য বারবার চেষ্টা করেও বাদী সুবাস মালো টাকা ফেরত পাননি। এছাড়া টাকা ফেরত চাওয়ায় আসামি বিভিন্নভাবে গুটিয়ে দেয় এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
২০২৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর বাদী সাত দিনের লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। নোটিশ সত্ত্বেও টাকা ফেরত না পাওয়ায় আদালতে আসামির বিরুদ্ধে প্রতারণা এবং বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়।
মামলায় বাদীর জবানবন্দি গ্রহণের পর তেজগাঁও থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। ২০২৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি থানার উপপরিদর্শক মো. মমতাজ উদ্দিন আসামির বিরুদ্ধে অপরাধের সত্যতা প্রমাণিত হওয়া প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত আসামিকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় ২০২৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
পরবর্তীতে ২০২৫ সালের ১৪ আগস্ট আসামি গ্রেপ্তার হন। গ্রেপ্তারের তিন দিন পর আদালত তাকে বাদীর সঙ্গে আপোসের শর্তে জামিন দেন। কিন্তু আপোস না হওয়ায় আদালত মঙ্গলবার জামিন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আপনার মতামত লিখুন :