জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তাদের নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’ পেতে যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, সম্প্রতি ইসি গেজেটে শাপলা প্রতীক অন্তর্ভুক্ত না থাকলেও এনসিপির আবেদনের পর এটি তালিকায় যুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বিএনপি, জামায়াতসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল ইতোমধ্যেই এনসিপির শাপলা প্রতীকের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে তাদের অনাপত্তি জানিয়েছে। নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে ইসিকে অনানুষ্ঠানিকভাবে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যাতে এনসিপি শাপলা প্রতীকের ব্যবহার করতে পারে। বিএনপির এক জ্যেষ্ঠ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এই ক্ষেত্রে তাদের আপত্তি নেই।
এনসিপির নেতারা নির্বাচন কমিশনের চিঠি পাওয়ার পর পুনরায় শাপলা প্রতীক বরাদ্দের জন্য আবেদন করেছে এবং অন্য কোনো প্রতীক গ্রহণের বিষয়ে রাজি নয়। এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন বলেন, “শাপলা প্রতীক আমাদের দলের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পরিচয়ের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত। এটি শুধুমাত্র একটি চিহ্ন নয়, জনগণের সঙ্গে দলের সম্পর্কের প্রতীকও।”
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না জানিয়েছেন, এনসিপি শাপলা প্রতীক দাবি করার পর বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হলে তার সঙ্গে দলটির কিছু নেতা দেখা করে অনুরোধ করেছিলেন। তিনি জানান, নির্বাচনে দলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার সম্মান দেখিয়ে তিনি কোনো আইনি বাধা দেবেন না যদি এনসিপিকে শাপলা প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন এনসিপি ও বাংলাদেশ জাতীয় লীগকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দেয়। এর পর থেকে এনসিপি নিয়মিতভাবে শাপলা প্রতীকের জন্য আবেদন জানাচ্ছিল। ২ অক্টোবর ইসি ১১৫টি প্রতীকের গেজেট প্রকাশ করে, তবে শাপলা তালিকায় ছিল না। তখন ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানান, নির্বাচনী প্রতীকের তালিকায় শাপলা নেই, তাই তা বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে বিকল্প প্রতীকের প্রস্তাব করা যেতে পারে।
নির্বাচনী বিধিমালা সংশোধনের পর শাপলা প্রতীক তালিকায় যুক্ত হলে এনসিপিকে এটি দেওয়া সম্ভব হবে বলে ইসি জানায়।

আপনার মতামত লিখুন :