উত্তরের সীমান্ত জেলা পঞ্চগড়ে হঠাৎ করেই শরতের শুরুতেই ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে গেছে চারপাশ। দিনের বেলায় গরম অনুভূত হলেও সন্ধ্যা নামলেই রাতভর আর ভোর পর্যন্ত কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে সড়ক, জনপদ ও গ্রামীণ এলাকা। এ অস্বাভাবিক কুয়াশা যেন প্রকৃতিতেই শীতের আগমনী বার্তা দিয়ে যাচ্ছে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে ঘন কুয়াশার দেখা মেলে। সকাল ৮টা পর্যন্ত চারপাশে ধূসর সাদা আস্তরণে ঢেকে থাকে। এ সময় শীতের আমেজ ফিরে পায় স্থানীয়রা।
শরৎকাল হলেও নদীর তীরে ফুটতে শুরু করেছে কাশফুল। মাঠে জমছে শিশিরবিন্দু। ধানের ডোগা ভিজে যাচ্ছে সকালের শিশিরে। ফলে গ্রামীণ জনপদে এখন থেকেই শীতের ছোঁয়া টের পাচ্ছেন কৃষক-শ্রমজীবীরা।
পঞ্চগড় সদর ইউনিয়নের চারমাইল এলাকার বাসিন্দা করিম উদ্দীন জানান, “সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি চারপাশ ঘন কুয়াশায় ঢাকা। মনে হচ্ছে এবার অনেক আগেভাগেই শীত নামবে।”
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে শনিবার ভোর ৬টার দিকে তাপমাত্রা নেমে আসে ২৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
স্থানীয়রা বলছেন, গত কয়েক বছরে শরৎকালীন সময়ে এত ঘন কুয়াশা দেখা যায়নি। এরইমধ্যে বাজারে গরম কাপড়ের খোঁজ শুরু করেছেন অনেকে। শীতের প্রকোপ যদি আগেভাগেই নেমে আসে, তবে উত্তরাঞ্চলের দরিদ্র ও নিম্নআয়ের মানুষের জন্য তা বাড়তি ভোগান্তি তৈরি করতে পারে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের মতে, শরতের শুরুতে এমন ঘন কুয়াশা বিরল হলেও হিমালয়ের কাছাকাছি অবস্থান ও ভৌগোলিক কারণে পঞ্চগড়ে মৌসুমি পরিবর্তনের প্রভাব অন্যান্য জেলার তুলনায় দ্রুত অনুভূত হয়। তাই এখানকার মানুষ উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলার তুলনায় আগে শীতের স্বাদ পান।

আপনার মতামত লিখুন :