সরকার আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্যপুস্তকে ‘জুলাই সনদ’ অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে। ২০২৬ সালের পাঠ্য বইয়ে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ইতিহাস ও নাগরিকতা বিষয়ক অধ্যায়ে ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ অংশের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত আকারে ‘জুলাই সনদ’ যুক্ত করা হতে পারে। তবে ২০২৭ সালের সংস্করণে সনদের পূর্ণাঙ্গ অংশ সংযোজনের পরিকল্পনা রয়েছে।
গতকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সভাকক্ষে পাঠ্যপুস্তক সংক্রান্ত এক বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় উপস্থিত কর্মকর্তারা জানান, ‘জুলাই সনদ’ এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি বলে এটি ২০২৬ সালের বইয়ে না রেখে ২০২৭ সালের সংস্করণে বিস্তারিতভাবে যুক্ত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সভাসূত্রে জানা যায়, প্রাথমিকভাবে ২০২৬ সালের বইয়ে সংক্ষিপ্ত আকারে সনদটির সারাংশ যোগ করার প্রস্তাব ছিল। তবে, অসম্পূর্ণ তথ্য প্রকাশের আশঙ্কায় পরিকল্পনাটি আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। আলোচনায় অংশ নেওয়া সদস্যরা বলেন, ‘জুলাই সনদ’ দেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ একটি দলিল হিসেবে নতুন প্রজন্মকে জানানো প্রয়োজন, তবে তা যেন যথাযথ যাচাই ও প্রাসঙ্গিক ব্যাখ্যার সঙ্গে উপস্থাপন করা হয়।
পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের এক কর্মকর্তা জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার পরই বিষয়টি ২০২৬ সালের বইয়ে অন্তর্ভুক্ত হবে কি না, তা নির্ধারণ করা হবে। সনদের পূর্ণাঙ্গ সংস্করণ সংযোজনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আগামী বছরের শুরুতেই নেওয়া হতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :