ঢাকা বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হত্যায় শোকের ছায়া, জানাজায় বাবার অঝোর কান্না

জবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২৫

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হত্যায় শোকের ছায়া, জানাজায় বাবার অঝোর কান্না

ছবিঃ সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসেনের জানাজা শেষে পুরো ক্যাম্পাসে নেমে এসেছে গভীর শোক। সোমবার (২০ অক্টোবর) বেলা ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত জানাজায় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ। জানাজায় অংশ নিয়ে অঝোরে কেঁদে ওঠেন জোবায়েদের বাবা মোবারক হোসেন।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, “আমার ছেলের নাম ছিল জোবায়েদ হোসেন, আমি তাকে ডাকতাম জুবু। ঢাকায় আসলে ও আমার কাঁধে হাত দিয়ে হাঁটত। আজ আমার জুবু আর নেই। ওর মাকে আমি কীভাবে বোঝাব? কী জবাব দেব?” কথা বলতে বলতে তিনি ছেলের হত্যার বিচার দাবি করেন।

জানাজার সময় পুরো ক্যাম্পাসে শোকের নিস্তব্ধতা নেমে আসে। সহপাঠী ও বন্ধুরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। প্রিয় মুখকে শেষ বিদায় জানাতে গিয়ে অনেকেই আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। জানাজা শেষে ছাত্রদল ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। তারা জোবায়েদের হত্যার বিচার দাবি করে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

জোবায়েদ হোসেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। পাশাপাশি তিনি কুমিল্লা জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির সভাপতি এবং জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি পুরান ঢাকার আরমানীটোলার নুরবক্স লেনে এক শিক্ষার্থীর বাসায় টিউশন করতেন।

রবিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে সেই শিক্ষার্থীর বাসায় খুন হন জোবায়েদ। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ওই শিক্ষার্থীর প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করেই হত্যাকাণ্ড ঘটে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মেয়েটি জানিয়েছেন, তার প্রেমিক ৯ বছর ধরে সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন, কিন্তু জোবায়েদকে পছন্দ করায় প্রেমিক ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যা করে।

অভিযুক্ত তরুণের নাম মাহির রহমান। তিনি রাজধানীর বোরহানউদ্দিন কলেজে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন এবং নুরবক্স লেন এলাকাতেই তার বাড়ি। পুলিশ জানায়, মাহির ও তার এক সহযোগীকে ধরতে অভিযান চলছে।

আমার ক্যাম্পাস

Link copied!